বাংলা ভাষায় এমন বহু শব্দ আছে, যাদের আভিধানিক অর্থের সঙ্গে ব্যবহারিক অর্থের যথেষ্ট প্রভেদ আছে। বহুভাবে এ ধরনের পার্থক্য দৃষ্ট হয়ে থাকে। যেমন—
(১) শিষ্টরীতি বা রীতিসিদ্ধ প্রয়োগঘটিত : ছাত্রটির মাথা ভালো। এখানে ‘মাথা’ বলতে ‘দেহের অঙ্গবিশেষ' বোঝায় না, বোঝায় ‘মেধা’।
(২) শব্দের অর্থ সংকোচে : ইনি আমার বৈবাহিক। এখানে ‘বৈবাহিক’ শব্দে ‘বিবাহ সূত্রে সম্পর্কিত' অর্থ না বুঝিয়ে ‘ছেলে বা মেয়ের শ্বশুর সম্পর্কিত' ব্যক্তিকে বোঝাচ্ছে ।
(৩) শব্দের অর্থান্তর প্রাপ্তিতে : মেয়ের শ্বশুরবাড়ি তত্ত্ব পাঠানো হয়েছে। এখানে ‘তত্ত্ব' শব্দটির আভিধানিক অর্থ ‘সংবাদ’ না বুঝিয়ে ‘উপঢৌকন’ অর্থ বোঝাচ্ছে। একে নতুন অর্থের আবির্ভাব বলা চলে ৷
(৪) শব্দের উৎকর্ষ প্রাপ্তিতে : শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। এখানে ‘পরমহংস' শব্দের সঙ্গে হাঁসের কোনো সম্পর্ক নেই, এর অর্থ ‘সন্ন্যাসী’।
(৫) শব্দের অপকর্ষ (বা অধোগতি) বোঝাতে : জ্যাঠামি করো না। এখানে ‘জ্যাঠামি' শব্দের সঙ্গে ‘জ্যাঠা’র
(পিতার বড় ভাইয়ের) কোনো সম্পর্ক নেই; শব্দটি ‘ধৃষ্টতা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, শব্দের ব্যবহার দুই প্রকার : (১) বাচ্যার্থ ও (২) লক্ষ্যার্থ।
১. বাচ্যার্থ : যে সকল শব্দ তাদের আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত হয়, আভিধানিক অর্থই তাদের বাচ্যার্থ ।
২. লক্ষ্যার্থ : যে সকল শব্দ তাদের আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে, অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয়, অর্থগুলো তাদের লক্ষ্যার্থ। ঐ অন্য অর্থগুলো তাদের লক্ষ্যার্থ।
কোনো শব্দ বা শব্দ-সমষ্টি বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে অর্থের দিক দিয়ে যখন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন সে সকল শব্দ বা শব্দ-সমষ্টিকে বাগ্ধারা বা বাক্যরীতি বলা হয়।
‘মুখ' শব্দযোগে বাগ্ধারার উদাহরণ
(ক) এ ছেলে বংশের মুখ রক্ষা করবে......... (সম্মান বাঁচানো)
(খ) শুধু শুধু ছেলেটাকে মুখ করছ কেন?......(গালমন্দ করা)
(গ) এবার গিন্নির মুখ ছুটেছে।............(গালিগালাজের আরম্ভ)
(ঘ) টক খেয়ে মুখ ধরে আসছে।........(মুখের স্বাদ নষ্ট হওয়া)
(ঙ) খোদা মুখ তুলে চাইলে অবশ্যই ব্যবসায়ে লাভ হবে।........(অনুগ্রহ লাভ করা)
বিশেষ্য শব্দের প্রয়োগভেদে অর্থ পার্থক্য
১. হাত
(ক) হাত আসা- কাজ করতে করতেই কাজে হাত আসবে। (দক্ষতা)
(খ) হাত গুটান-হাত গুটিয়ে বসে আছ কেন? (কার্যে বিরতি)
(গ) হাত করা- সাহেবকে হাত করতে পারলেই কাজ হবে। (আয়ত্তে আনা)
(ঘ) হাত ছাড়া -টাকাগুলো হাত ছাড়া করো না। (হস্তচ্যুত)
(ঙ) হাত থাকা-এ ব্যাপারে আমার কোনো হাত নেই। (প্রভাব )
দ্রষ্টব্য : বাগ্ধারা গঠনে বিভিন্ন পদের ব্যবহারকে রীতিসিদ্ধ প্রয়োগও বলে ৷
(ক) হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল) : এ টাকা কটিই ছিল আমার হাতের পাঁচ ।
(খ) হাতে হাতে (অবিলম্বে): হাতে হাতে এ কাজের ফল পাবেন।
(গ) হাতে খড়ি (বিদ্যারম্ভ): এ মাসেই খোকার হাতে খড়ি হবে।
(ঘ) হাতে কলমে (স্বহস্তে, কার্যকর ভাবে) :হাতে-কলমে শিক্ষা কেতাবি শিক্ষার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী।
২. মাথা
(ক) মাথা ধরা - রোগ বিশেষ
(খ) গাঁয়ের মাথা - মোড়ল।
(গ) মাথা ব্যথা -আগ্রহ
(ঘ) মাথা খাওয়া -শপথ করা।
(ঙ) মাথা দেওয়া -দায়িত্ব গ্রহণ
(ছ) মাথাপিছু-জনপ্রতি
(চ) মাথা ঘামানো-ভাবনা করা।
মাথা শব্দের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগ বাক্য গঠন
রাস্তার মাথায় -মিলন স্থলে ৷ রাস্তার মাথায় তার সঙ্গে দেখা।
মাথা গরম করা -রাগান্বিত হওয়া । মাথা গরম করে আর কী হবে?
রাগের মাথায় - হঠাৎ ক্রোধবশত। রাগের মাথায় কথাটা বলেছি।
মাথা হেঁট করা -লজ্জায় মাথা নিচু করা। মাথা হেঁট হবে কেন ?
মাথা উঁচু করে চলা - গর্বভরে চলা ৷ মাথা উঁচু করেই চলতে চাই।
বিশেষণ শব্দের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগ
১. কাঁচা
কাঁচা আম-অপরিপক্ক আম ।
কাঁচা খাতা - খসড়া।
কাঁচা কথা-গুরুত্বহীন কথা
কাঁচা ইট -অদগ্ধ ইট।
কাঁচা ঘুম -অল্প ক্ষণের ঘুম।
কাঁচা বয়স-অপরিণত বয়স।
কাঁচা চুল-কালো চুল।
বাক্য গঠন : কাঁচা সোনার মতো তার গায়ের রং।
কাঁচা (আনাড়ি) লোকই কাঁচা (অনিপুণভাবে) কাজ করে থাকে।
বাক্যে ‘পাকা' বিশেষণ শব্দের রীতিসিদ্ধ প্ৰয়োগ
পাকা কথা (শেষ সিদ্ধান্তসূচক) চাই ।
পাকা বন্দোবস্ত (স্থায়ী) করে এসেছি। এ হচ্ছে পাকা রাঁধুনির (দক্ষ) রান্না ।
ইঁচড়ে পাকা (অকালে পরিপক্ব) ছেলেদের কথা অসহ্য।
একেবারে পাকা হাতের (দক্ষ লেখকের) লেখা।
আমি কি তোমার পাকা ধানে মই দিয়েছি (হক নষ্ট করা) যে, আমার সঙ্গে শত্রুতা করছ?
‘করা' ক্রিয়াপদের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগ
মনে করলাম এবার তীর্থে যাব। (সংকল্প করা)
সে ফুটবল খেলায় নাম করেছে। (যশস্বী হওয়া
টাকা করে নাম কিনতে চাও? (খ্যাতি লাভের চেষ্টা করা)
চাকরি পাওয়ার কোনো জো করে উঠতে পারিনি। (সুযোগ পাওয়া)
'ধরা' ক্রিয়াপদের রীতিসিদ্ধ প্রয়োগ
কান ধরা-কর্ণ মর্দন করা।
দোষ ধরা-অপরাধ গণনা করা ।
মনে ধরা-পছন্দ হওয়া।
আগুন ধরা-আগুন লাগা ।
পথ ধরা-উপায় দেখা ।
ম্যাও ধরা-দায়িত্ব নেওয়া ।
গোঁ ধরা-একগুঁয়েমি করা।
হাতে-পায়ে ধরা - অনুরোধ করা।
গলা ধরা-কণ্ঠ রুদ্ধ হওয়া। (কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া)
দ্রষ্টব্য : শব্দাত্মক ও পদাত্মক বাগ্ধারার অর্থের পার্থক্য ঘটে। যেমন—
গা সওয়া -অভ্যস্ত হওয়া
গায়ে সওয়া - দেহে সহ্য হওয়া ।
গা লাগা -মনোযোগ দেওয়া ।
গায়ে লাগা-অনুভূত হওয়া। -
পায়ে পড়া-ক্ষমা প্রার্থনা করা।
পায় পড়া-খোশামুদে ৷
হাত আসা- অভ্যস্থ হওয়া।
হাতে আসা- আয়ত্ত হওয়া।
রোগ ধরা -রোগ নির্ণয়
রোগে ধরা-রোগাক্রান্ত হওয়া ।
অকাল কুষ্মাণ্ড (অপদার্থ, অকেজো)-অকাল কুষ্মাণ্ড ছেলেটার ওপর এ কাজের দায়িত্ব দিও না।
অক্কা পাওয়া (মারা যাওয়া)-অনেক রোগভোগের পর শয়তানটা শেষ পর্যন্ত অক্কা পেয়েছে।
অগস্ত্য যাত্রা (চিরদিনের জন্য প্রস্থান)-ডাকাতি মামলার আসামি হওয়ায় করিম গ্রাম থেকে অগস্ত্য যাত্রা করেছে।
অগাধ জলের মাছ (সুচতুর ব্যক্তি)-সরল মনে হলেও লোকটা আসলে অগাধ জলের মাছ ।
অর্ধচন্দ্ৰ (গলা ধাক্কা)-শয়তানটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দাও ।
অন্ধের ষষ্ঠি-বিধবার একমাত্র সন্তান তার অন্ধের ষষ্ঠি/অন্ধের নড়ি।
অন্ধের নড়ি (একমাত্র অবলম্বন)-বিধবার একমাত্র সন্তান তার অন্ধের ষষ্ঠি/অন্ধের নড়ি।
অগ্নিশর্মা (নিরতিশয় ক্রুদ্ধ )-তিনি ক্রোধে অগ্নিশর্মা হলেন ৷
অগ্নিপরীক্ষা (কঠিন পরীক্ষা)-জাতিকে এ অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেই হবে, ভয় পেলে চলবে না।
অন্ধকারে ঢিল মারা (আন্দাজে কাজ করা)-অন্ধকারে ঢিল মেরে সব কাজ ঠিকভাবে করা যায় না।
অকূল পাথার (ভীষণ বিপদ) )-অকূল পাথারে আল্লাহ্ই একমাত্র সহায়।
অনুরোধে ঢেঁকি গেলা (অনুরোধে দুরূহ কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি জ্ঞাপন) – অনুরোধে ঢেঁকি গেলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আমি এ কাজ করতে পারব না ।
অদৃষ্টের পরিহাস (ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা) -অদৃষ্টের পরিহাসে রাজাও ভিখারি হয়।
অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী (সামান্য বিদ্যার অহংকার) - কিছুই জানে না, আবার দেমাক কত – অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী আর কি।
অনধিকার চর্চা (সীমার বাইরে পদক্ষেপ)- কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি অনধিকার চর্চা করি না।
অরণ্যে রোদন (নিষ্ফল আবেদন)-কৃপণের নিকট চাঁদা চাওয়া অরণ্যে রোদন মাত্র।
অহিনকুল সম্বন্ধ (ভীষণ শত্রুতা )-দুভাইয়ের মধ্যে অহিনকুল সম্বন্ধ
অন্ধকার দেখা (দিশেহারা হয়ে পড়া)-এ বিপদে আমি যে সব অন্ধকার দেখছি।
অমাবস্যার চাঁদ (দুর্লভ বস্তু)-তোমার দেখা পাওয়াই ভার, অমাবস্যার চাঁদ হয়ে পড়েছ।
আকাশ কুসুম (অসম্ভব কল্পনা)-মূর্খরাই আকাশ কুসুম চিন্তা করে ৷
আকাশ পাতাল (প্রচুর ব্যবধান)-ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে আকাশ পাতাল প্রভেদ ।
আক্কেল সেলামি (নির্বুদ্ধিতার দণ্ড)-বিনা টিকেটে রেলগাড়িতে চড়ে আক্কেল সেলামি দিতে হলো ৷
আঙুল ফুলে কলাগাছ (হঠাৎ বড়লোক )-যুদ্ধের বাজারে দেদার টাকা পয়সা কামাই করে অনেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া (দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি)- হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে বাপ-মা যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন ।
আদায় কাঁচকলায় (শত্রুতা)-তার সঙ্গে আমার আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক, সে আমার দুশমন ।
আদা জল খেয়ে লাগা (প্রাণপণ চেষ্টা করা)-কাজটি শেষ করার জন্য সে আদা জল খেয়ে লেগেছে।
আক্কেল গুড়ুম (হতবুদ্ধি, স্তম্ভিত)-ইঁচড়ে পাকা ছেলেটার কথা শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম ।
আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অপদার্থ)-ও হচ্ছে ধনীর দুলাল, আমড়া কাঠের ঢেঁকি, ওকে দিয়ে কিছুই হবে না।
আকাশ ভেঙে পড়া (ভীষণ বিপদে পড়া)-ব্যাংক ফেল করেছে শুনে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল।
আমতা আমতা করা (ইতস্তত করা, দ্বিধা করা)-আমতা আমতা না করে স্পষ্ট কথায় দোষ স্বীকার কর।
আটকপালে (হতভাগ্য)-ছেলেটা এতিম, আটকপালে।
আঠার মাসে বছর (দীর্ঘসূত্রতা)-তোমার তো আঠার মাসে বছর, কোনো কাজই তাড়াতাড়ি করতে পার না।
আলালের ঘরের দুলাল (অতি আদরে বড় লোকের নষ্ট পুত্র)-বড়লোকের ঘরে দু-একজন আলালের ঘরের দুলাল মিলবেই।
আকাশে তোলা (অতিরিক্ত প্রশংসা করা)-চাটুকাররা ধনী ব্যক্তিদের কথায় কথায় আকাশে তোলে ৷
আষাঢ়ে গল্প (আজগুবি কেচ্ছা )চাঁদে যাওয়ার কথাটা একসময় ছিল আষাঢ়ে গল্প ।
ইঁদুর কপালে (নিতান্ত মন্দ ভাগ্য)-আমার মতো ইঁদুর কপালে লোকের দাম এক কানাকড়িও না।
ইঁচড়ে পাকা (অকালপক্ব)-অতবড় মানুষটার সাথে তর্ক করছে, কী ইঁচড়ে পাকা ছেলে বাবা ।
ইতর বিশেষ (পার্থক্য)-সৃষ্টিকর্তার নিকট সব মানুষই সমান, ইতর বিশেষ নেই।
উত্তম মধ্যম (প্রহার, পিটুনি)-গৃহস্থ চোরটাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দিল।
উড়নচণ্ডী (অমিতব্যয়ী)-এমন উড়নচণ্ডী হলে দুদিনে টাকাকড়ি সব শেষ হবে।
উভয় সংকট-‘শাখের করাত' দেখ
উলুবনে মুক্ত ছড়ানো (অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য ) -তাকে সদুপদেশ দান, উলুবনে মুক্ত ছড়ানোর মতোই নিষ্ফল।
উড়োচিঠি ( বেনামি পত্র)-ডাকাতরা জমিদার বাড়িতে উড়োচিঠি দিয়ে ডাকাতি করেছিল।
উড়ে এসে জুড়ে বসা -(অনধিকারীর অধিকার লোকটার মাতব্বরি দেখলে গা জ্বলে যায়। ও এখানকার লোক নয়, উড়ে এসে জুড়ে বসেছে।
একক্ষুরে মাথা মুড়ানো (একই স্বভাবের)সকলেই একক্ষুরে মাথা মুড়িয়েছে দেখছি, পরীক্ষায় সবাই ফেল করেছে।
একচোখা (পক্ষপাতিত্ব, পক্ষপাতদুষ্ট)-একচোখা লোকের কাছে সুবিচার পাওয়া যায় না ।
এক মাঘে শীত যায় না (বিপদ একবারই আসে না)-আমাকে ফাঁকি দিলে, মনে রেখো, একমাঘে শীত যায় না।
এলোপাতাড়ি (বিশৃঙ্খলা)-এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে শত্রুদলের ক্ষতি করতে পারবে না।
এসপার ওসপার (মীমাংসা)-চুপ করে থেকে লাভ কী, এসপার ওসপার একটা করে ফেল।
একাদশে বৃহস্পতি (সৌভাগ্যের বিষয়)এখন তার একাদশে বৃহস্পতি, ধুলোমুঠোও সোনামুঠো হচ্ছে।
এলাহি কাণ্ড (বিরাট আয়োজন)-বড় বাড়িতে বিয়ে, সেতো এক এলাহি কাণ্ড হবে।
কলুর বলদ (একটানা খাটুনি)কলুর বলদের মতো সংসারের চাকায় ঘুরে মরছি।
কথার কথা (গুরুত্বহীন কথা )-কারও মনে আঘাত দেওয়ার জন্য একথা বলিনি, এটা একটা কথার কথা।
কপাল ফেরা (সৌভাগ্য লাভ )-লটারির টিকেট কিনে সে তার কপাল ফেরাতে চায় ৷
কত ধানে কত চাল (হিসাব করে চলা)-নিজেকে তো আর উপার্জন করতে হয় না, কত ধানে কত চাল হয় বুঝবে কেমন করে ।
কড়ায় গণ্ডায় (সম্পূর্ণ, পুরোপুরি)সে কড়ায় গণ্ডায় তার পাওনা বুঝে নিল।
কান খাড়া করা (মনোযোগী হওয়া)আমি কী বলি তা শোনার জন্য সে কান খাড়া করে রইল।
কাঁচা পয়সা (নগদ উপার্জন)-কাঁচা পয়সা পাও কি না, তাই খরচ করতে বাধে না।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব (অসম্ভব বস্তু)- ঐ হাড়কিপ্টে করবে দান, কাঁঠালের আমসত্ত্ব আর কি।
কূপমণ্ডুক (ঘরকুনো, সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন) তুমি তো কূপমণ্ডূক, ‘ঘরে হৈতে আঙ্গিনা বিদেশ'।
কেতাদুরস্ত (পরিপাটি কথাবার্তায়, পোশাকপরিচ্ছদে কেতাদুরস্ত হলেও সে অন্তঃসারশূন্য।
আরও দেখুন...